এনথ্রাকনোজ
(Anthracnose )
পোষক:
শিম, বরবটি, মরিচ, বেগুন, টমেটো, মূলা, গাজর, ডালিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, শালগম, আম, কলা, ডালিম, পেঁপে, লেবু জাতীয় ফল, কুমড়া জাতীয় সবজি প্রভৃতি।
লক্ষণ:
১. পাতা
ও ফলের গায়ে ছোট ছোট গোলাকার বাদামী ও তার পাশে হলুদাভ পানি ভেজা দাগের সৃষ্টি হয়।
২. উক্ত
দাগগুলি দ্রুত গাঢ় রং ধারণ করে এবং ধীরে ধীরে পাতা ও ফল হলুদ হয়ে ঝড়ে পরে।
৩. এনথ্রাকনোজ
রোগ আক্রমণের ফলে , ফলের গায়ে অসংখ্য কালো দাগ দেখা যায় এবং দাগে চক্রাকার গর্ত দেখা যায়।
৪. আর্দ্র
আবহাওয়ায় উক্ত দাগে স্পোর জন্মে এবং পরবর্তীতে দাগের মাঝখানে ফোঁটা ফোঁটা কালো দাগে ভরে যায়।
৫. উষ্ণ আবহাওয়ায় ছত্রাক নীচের দিকে ছড়িয়ে পড়ে ফল পঁচে যায়।
নিরাপদ ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাপনা:
১.
রোগ
মুক্ত
বীজ
বপন
করা।বীজ
বপনের
র্পূবে
বীজ
শোধন
করা।
যেমন-
এক
লিটার
পানিতে
২-৩
গ্রাম
হারে
প্রোভক্স
বা
কার্বেন্ডাজিম
বা
আইপ্রোডিওন
ছত্রাকনাশক
মিশিয়ে
৪-৫
ঘন্টা
বীজ
ভিজিয়ে
রাখলে
বীজ
শোধন
হয়ে
যাবে।
তারপর
পরিষ্কার
পানিতে
বীজ
গুলো
ধুয়ে
বীজ
বপন
করতে
হবে।
২.
ফসলের
পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে বা মাটিতে পুঁতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে হবে।
৩. ক্ষেত হতে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করা।
৪. একই জমিতে বারবার একই ফসলের আবাদ না করা এবং জমি হতে আগাছা তুলে ফেলা বিশেষ করে সোলানেসী গোত্রের আগাছা ধ্বংস করে ফেলা।
বোর্দো মিক্সচার দ্বারা দমন:
আক্রান্ত গাছে ১০ গ্রাম চুন, ১০ গ্রাম তুঁতে ৫০০ মিঃলিঃ পানিতে আলাদা আলাদা পাত্রে চুন ও তুঁতে মিশ্রণ করে একই সময়ে অন্য পানির পাত্রে ঢেলে বোর্দো মিক্সচার তৈরি করে চারার গোড়ায় স্প্রে করতে হবে।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমন:
আক্রান্ত
গাছে নিচে উল্লেখিত যেকোন একটি ছত্রাকনাশক গাছ ভিজিয়ে ম্প্রে করুন, যেমন– কারিশসা-২৮ এসসি ২ মিলি/ লিটার পানি/ টিল্ট-২৫০ ইসি ০.৫ মিলি/ লিটার পানি/ আইকার-২০ এসসি ১ মিলি/ লিটার পানি/ চ্যাম্পিয়ন-৭৭ ডব্লিউপি ২ গ্রাম / লিটার পানি/ স্কোর-২৫০ ইসি ০.৫ মিলি/ লিটার পানি/ ক্রপসেপ-৩০০ ইসি ০.৫ মিলি/ লিটার পানি/ কনটাফ-৫ ইসি ২ মিলি/ লিটার পানি/ ফুলিমেইন-৬০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম/ লিটার পানি/ গোল্ডাজিম ৫০০ এসসি ১ মিলি/ লিটার পানি/ জেনুইন ৫০ ডব্লিউ পি/ নোইন ৫০ ডব্লিউ পি/ নোভা ৫০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম / লিটার পানি।
সুভাষ চন্দ্র দত্ত
উপ সহকারী কৃষি অফিসার
ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম।
ই-মেইল: subhashdutta777@gmail.com
Comments
Post a Comment