ছাতরা পোকা (Mealy Bug)
পোষক:
পেয়ারা,
কুল,
লেবু,
আম,
করমচা,
জলপাই,
বেগুন,
পেঁপে,
টমেটো,
কুমড়া জাতীয় সবজি প্রভৃতি গাছে এ পোকার আক্রমণ দেখা যায়।
লক্ষণ:
১.
পাতার নিচে সাদা তুলার মত দেখা যায়।
২.
সাদা পোকা উড়তে পারেনা।
৩.
টিপ দিলে হলুদ পানির মত বের হয়ে আসে।
৪.
গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে,
পাতা লাল হয়ে যায়,
পাতা ও ফল ঝরে পড়ে,
ফলের আকার বিকৃত হয়ে যায় ।
৫.
অনেক সময় পাতায় শুটি মোল্ড রোগের আক্রমণ হয়।
৬.
স্বালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয় এবং ফুল ও ফল ধরে না।
নিরাপদ ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাপনা:
১.
প্রাথমিক
পর্যায়ে
আক্রান্ত
পাতা
ও
ডগা
ছিঁড়ে
ফেলা।
২.
পরভোজী
পোকা
সংরক্ষণ
যেমন-
লেডির্বাড
বিটল,
বোলতা,
গ্রীন
লেস
উইং
এ
পোকা
সকল
স্তরে
ভক্ষণ
করে।
জৈব বালাইনাশক দ্বারা দমন:
১. প্রতি লিটার পানিতে ১ মি.লি হারে বায়োনিম প্লাস অথবা, প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিঃলিঃ নিমবিসিডিন মিশিয়ে সাপ্তহে ২ বার স্প্রে করা।
২. সদ্য গো-চনা সংগ্রহ করে ১৫ দিন রেখে দিতে হবে। পাত্রে মুখ পলিথিন দিয়ে এমনভাবে বাঁধতে হবে যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। এরপর ১ ভাগ গো-চনা ৪-৫ ভাগ পানির সাথে মিশিয়ে সপ্তাহে ২ বার করে প্রয়োগ করতে হবে।
সাবান পানি দ্বারা দমন:
দুই
লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম কাপড় কাঁচার সাবান টুকরো করে মিশিয়ে , সাবান গলে না যাওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করে, তাতে ৪ লিটার কেরোসিন মিশিয়ে পাঁচ-ছয় মিনিট পর্যন্ত খুব করে নাড়াতে হবে। এবার মিশ্রণটিতে ১৫ লিটার পানি মিশিয়ে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করে
এই পোকা দমন করা যায়।
রাসায়নিক দমন:
আক্রমণ
মাত্রা
বেশি
হলে
নিচে
উল্লেখিত
যেকোন
একটি
কীটনাশক
ব্যবহার
করুন।
যেমন–
স্পেলেন্ডর-৮০
ডব্লিউডিজি
০.৪
গ্রাম/
লিটার
পানি/
মিপসিন-৭৫
ডব্লিউপি
০.২
গ্রাম/
লিটার
পানি/
টপটেন-১০
ইসি
১
মিলি/
লিটার
পানি/
ফেনিটক্স
৫০
ইসি/
মারশাল/বেনিফিট/
প্রতি
লিটার
পানিতে
২মিঃলিঃ
হারে
মিশিয়ে
স্প্রে
করুন।
============================================================
সুভাষ চন্দ্র দত্ত,
উপ
সহকারী কৃষি অফিসার,
মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস,
ডবলমুরিং,
চট্টগ্রাম।সেল-০১৮১৫৫৩৫৫৭১
Comments
Post a Comment